সিকান্দার হিট নাকি ফ্লপ?

ঈদ মানেই তো আমাদের কাছে আনন্দ, আর এবার সালমান খানের ‘সিকান্দার’ মুক্তি পেয়ে সেই আনন্দটা আরেকটু বাড়িয়ে দেবে ভেবেছিলাম। গত রোববার, ঈদের ঠিক আগে ছবিটা রিলিজ হয়েছে। আমি তো ভাইজানের ফ্যান, তাই মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিলাম—এটা বক্স অফিসে ঝড় তুলবে। পরিচালক এ আর মুরুগাদস, অ্যাকশনের ধুম—কী নেই এতে? কিন্তু চার দিন পরে যা দেখছি, মনটা একটু খারাপ হয়ে গেছে। ‘সিকান্দার’ কি হিট হলো, নাকি ফ্লপ? এসো, একটু খুঁটিয়ে দেখি।

 

আমার মনে হয়, বলিউডের খানদের দিন যেন একটু ফিকে হয়ে আসছে। আমিরের ‘থাগস অব হিন্দুস্তান’ আর ‘লাল সিং চাড্ডা’ তো হলে গিয়েও কিছু করতে পারেনি। সালমানেরও একের পর এক ছবি দেখে মনে হচ্ছে, আগের সেই জাদু আর নেই। ‘সিকান্দার’ নিয়ে তাই আমি একটু বেশি আশা করে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, চার দিনে বক্স অফিসের হাল বেশ পাতলা।

 

প্রথম দিনে ২৬ কোটির কাছাকাছি আয় দিয়ে শুরু হলো। আমি ভাবলাম, ঠিক আছে, শুরুটা খারাপ না। কিন্তু ২০০ কোটির বাজেটের ছবি, এটা তো একটু কমই। সোমবার ঈদের ছুটি ছিল, তখন ২৯ কোটি হলো। আমার মনে হলো, এইবার হয়তো বাড়বে। কিন্তু তৃতীয় দিনে ১৯.৫০ কোটি, আর চতুর্থ দিনে মাত্র ৯.৭৫ কোটি! মোটে ৮৪.২৫ কোটি চার দিনে। ‘টাইগার ৩’ যেখানে প্রথম সপ্তাহান্তে ১৪৮.৫০ কোটি নিয়ে গিয়েছিল, সেখানে এটা তো অনেক পিছিয়ে।

 

ছবিতে সব ছিল—সালমানের সঙ্গে রাশমিকা মান্দানা, খলনায়ক হিসেবে সত্যরাজ, অ্যাকশন, ড্রামা, রোমান্স। আমি ভেবেছিলাম, এটা তো পুরো প্যাকেজ! কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকে শো বাতিলের খবর শুনে মনটা ভেঙে গেল। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এই আয় দেখে মনে হচ্ছে ‘সিকান্দার’ ফ্লপের দিকেই যাচ্ছে।

 

তবে ‘কিসি কা ভাই কিসি কী জান’-এর থেকে এটা একটু ভালোই করেছে। ওটা তো প্রথম সপ্তাহান্তে ৬৮.১৭ কোটি আর ওপেনিংয়ে ১৫.৮১ কোটি করেছিল। আমি আসলে ঈদে হলে গিয়ে সালমানের ছবি দেখার প্ল্যান করেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, বাড়িতে বসে বিরিয়ানি খেয়ে ঈদটা কাটালেই বোধহয় ভালো হতো। তোমরা কী বলো?

Leave a Comment